পটভূমি
অতিপ্রাচীনকালে এই এলাকার নাম নাম ছিল তরফ রাজ্য। এই রাজ্যের সর্বশেষ রাজার নাম ছিল আছক নারায়ণ এবং তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান বাল্লা সীমান্তের নিকটে টেকারঘাট গ্রামে। হযরত শাহজালাল (রঃ) নির্দেশে সিপাহসালার সাইয়েদ নাসির উদ্দিন কর্তৃক তরফ রাজ্য বিজয়ের পর এই অঞ্চলে মুসলিম শাসন আরম্ভ হয়। তৎকালে অত্র এলাকায় খোয়াই নদী ছাড়া যোগাযোগের অন্যকোন বিকল্প পথ ছিলনা। সেসময় খোয়াই নদীর পশ্চিম তীরে বড়াইল মৌজায় একটি নদীর ঘাট ছিল। এই ঘাট দিয়ে নদী পথে অন্য এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত ও মালমাল আদান প্রদান করত। বিশেষ করে চা বাগান সমৃদ্ধ এ এলাকায় উৎপাদিত চা ও অন্যান্য মালামাল রপ্তানী কাজেও একমাত্র ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হত। জনশ্রুতি আছে, এ ঘাটের পার্শ্বে একজন বিখ্যাত চুন ব্যবসায়ী ছিলেন। যাঁর চুনের ব্যবসা তৎকালে সমগ্র তরফ রাজ্যে বিস্তৃত ছিল। তখন এই এলাকা চুন ব্যবসায়ী ঘাট নামে পরিচিতি লাভ করে এবং পর্যায়ক্রমে এলাকাটি চুনারুঘাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
চুনারুঘাট থানা প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত
বৃটিশ আমলে তৎকালীন আসাম সরকারের ১০/০৮/১৯১৪ ইংরেজী তারিখের ৪৭ নং জি স্মারকে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমাধীন মুছিকান্দি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা বর্তমান থানা সদর হতে প্রায় ৬ কি. মি. পূর্ব দক্ষিণে খোয়াই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। কিন্তু মুছিকান্দি যাতায়াতের অসুবিধা হেতু পরবর্তী সময়ে ১৯২২ ইংরেজী সনে বর্তমান স্থানে থানা সদর স্থানান্তর করা হয়। আসাম প্রাদেশিক সরকারের জারীকৃত স্মারক নং-৩১২৬/জি, জে এবং স্মারক নং৪৭, তারিখ-০৩/০৫/১৯১৮ ইংরেজী মূলে বর্তমান চুনারুঘাট থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
চুনারুঘাট থানা মান উন্নীতকরণ
১৯২২ ইংরেজী সনে চুনারুঘাট থানার মান উন্নীত করা হয়।
চুনারুঘাট উপজেলা হিসেবে ঘোষণা
১৯৮৩ ইংরেজী সনে চুনারুঘাট থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS